অসংখ্য রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে মানুষের শারীরবৃত্তীয় কাজে , সঙ্গে উৎসেচক বা এনজাইম জড়িত থাকে প্রায় ৯০–এর বেশি, দস্তা বা জিংক হলো এইগুলোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ ছাড়া মানব শরীরের কোষকলার গাঠনিক কাঠামো বজায় রাখে জিংক এবং শর্করা, চর্বি ও আমিষের বিপাক প্রক্রিয়ায় ভূমিকাও পালন করে জিংক। শিশুর বিকাশে জিংকের অনেক উপকারিতা আছে। স্বাভাবিক পরিমাণ ২ থেকে ৩ গ্রাম জিংক থাকে শরীরে । জিংক শরীরের বিশেষ কোনো জায়গায় অতিরিক্ত পরিমাণে জমা থাকে না। তাই নিয়মিত বাইরে থেকে শরীরে জিংক সরবরাহ করার প্রয়োজন পড়ে।
শিশুদের জিংক সিরাপ এর উপকারিতা
শিশুদের ডায়রিয়ায় জিংকের অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন ২০মিলিগ্রাম জিংক সিরাপ শিশুদের খাওয়ালে ডায়রিয়া সমস্য দূর হয় ও শিশুদের ওজন বাড়ে।
গর্ভবতী মায়েরা ওরাল জিংক সিরাপ ব্যবহার করলে বাচ্চা তারাতাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা ১৪% কমে যায়। যেসব গর্ভবতী মায়েরা রাতকানা রোগে ভূগছেন তারা জিংক সিরাপ সেবন করতে পারেন যার ফলে রাতে দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেতে অনেক সাহায্য করবে।
অনেক শিশুদের শরীরে ভিটামিন এ এর ঘাটতি দেখা দেয় সেইসব শিশুদের জিংক সিরাপ খাওয়ালে তাদের ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হয় বলে ধারণা করা হয়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটি খুবই উপকারী। এছাড়াও শিশুদের ওজন কমে যাওয়া, পুষ্টিহীনতা, মেধাহীনতা ইত্যাদি দূর করতে জিংক অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
শেষ কথা
শিশুদের বা বড়দের জিংক সেবন করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ধন্যবাদ।